রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ফেরি থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস অল্পের জন্য পদ্মা নদীতে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে এই ঘটনা ঘটে। ওই বাসে থাকা অন্তত ৪০ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইসলাম পরিবহনের গোপালগঞ্জগামী একটি বাস ফেরি থেকে নেমে সংযোগ সড়কে উঠছিল। হঠাৎ করে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত পেছনের দিকে গড়িয়ে যেতে থাকে। এ সময় ফেরির পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি মোটরসাইকেল বাসের পেছনের চাকার নিচে আটকে যায়। ফলে বাসটির গতি থেমে যায় এবং নদীতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি যদি ওই মোটরসাইকেল দুটির ওপর আটকে না যেত, তাহলে সেটি সরাসরি পদ্মা নদীতে পড়ে যেত। বাসচাপায় একটি মোটরসাইকেলের আরোহী মিলন হাওলাদার আহত হন। তিনি জানান, টিকিট কেটে ফের পন্টুনে ফিরে আসতেই বাসটি সোজা তাদের ওপর উঠে যায়। তাঁর ভাষায়, “মোটরসাইকেল আটকে না গেলে বাস নদীতে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।”
বাসযাত্রী সেফা মুখার্জি বলেন, “ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে হঠাৎ বাসটি পেছনে গড়াতে থাকে। লোকজন চিৎকার করতে থাকলে আমরা নেমে দেখি, দুটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে আছে। না হলে বাসসহ সবাই নদীতে পড়ে যেতাম।”
আহ্লাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি শামীম শেখ জানান, মোটরসাইকেল দুটি বাসের পেছনের চাকার নিচে আটকে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। বাসচালক ও সহকারী পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় মোটরসাইকেল দুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ৪০ জন যাত্রী।