ব্যুরো চিফ।
পাবনা সদর থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ উঠেছে জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমি জীবনেও এমন জঘন্য ব্যবহার আশা করিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এভাবে অপমানিত হতে হবে তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। পাবনার সাংবাদিক মহলকে আমি সবসময় ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে জানতাম। কিন্তু পাবনা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদকের জঘন্য আচরণ দেখে আমি হতবাক হয়েছি। আইনের একজন মানুষের সাথে এমন মারমুখী আচরণ কেউ করতে পারে, আমার ধারণার বাইরে ছিল। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, পাবনার রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চাঁদাবাজি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এসআই জাহাঙ্গীর ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। অভিযোগ উঠেছে, পাবনা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম ওই চাঁদাবাজি চক্রের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তিনি এসআই জাহাঙ্গীরকে তার কর্তব্য পালনে অশালীন ভাবে বাধা প্রদান করেন। এই ঘটনায় পাবনার সচেতন নাগরিক সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কিসের ক্ষমতা বলে মোঃ জহুরুল ইসলাম একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব পালন কালে এভাবে হেনস্তা করার সাহস পায়! এ বিষয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি এই ঘটনা জানেনা বলে এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় পাবনার সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন এবং দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে যাবে এবং সমাজে একটি ভুল বার্তা পৌঁছে যাবে।।