স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। এরপর কেটে যায় দীর্ঘ ১৭ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি স্বামী তারেক রহমান ও একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। অবশেষে তিনি শাশুড়ি, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন।
খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে যান এবং টানা ১৭ দিন দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। চার মাসের চিকিৎসা শেষে ৪ মে রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। ওই ফ্লাইটে তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও। উড়োজাহাজটি ৫ মে সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে।
২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও জুবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুদক একটি মামলা করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ২০২8 সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আদালত তাঁর সাজা স্থগিত করে।
চিকিৎসক জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে ছুটি বাড়ানোর পরেও চাকরিতে ফিরে না আসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে বরখাস্ত করে।
জুবাইদা রহমানের জন্ম সিলেটে। তিনি প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর মেয়ে। মাহবুব আলী জিয়াউর রহমান সরকারের সময়ে নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের সময়ে যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী তাঁর চাচা।
১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের বিয়ে হয়। ২০০৮ সালে স্বামীর চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি লন্ডনে যান এবং দীর্ঘ সময় প্রবাসে অবস্থান করেন।