উল্লাপাড়া হতে আব্দুস ছালাম শেখ।
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন ১২ নং পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী স্থায়ী কার্যালয় বন্যাকান্দিতে অবস্থিত। ইউপি কার্যালয় নিয়ে দীর্ঘদিন দুই পক্ষের টানা হেচড়ার পর বিগত ২৩/১২/১৯৮৪ তারিখের স্বারক নং ।। ২৬/৮৪/৫৮৬১(৬) এর মাধ্যমে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোশাররফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ মহোদয় সহ আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসক লেঃ কর্নেল দেলোয়ার হোসেন, ডিজিএফআই,বগুড়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উল্লাপাড়া, পুলিশ পরিদর্শক, উল্লাপাড়া, এর সমন্বয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বন্যাকান্দিকে ইউনিয়ন পরিষদ গৃহের যোগ্য স্থান মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের নামে ১২ শতক জায়গার উপর ১২ নং পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সরকার নির্মান করেন এবং তৎকালীন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম শফিকুল ইসলাম মহোদয় ৭ এপ্রিল ১৯৯৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের নিমিত্তে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইপ -১ অধি শাখার ১৬-০৯-২০১৩ তারিখের পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক স্বপন সরকারের সকল নিয়ম নীতি অনুসরণ করে পুনরায় বন্দাকান্দিবাসী ৩১/৩/২১ তারিখে আবার নতুন করে ২৫ শতক জায়গা সরকারকে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য দান করেন। এবং ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য সরকার বরাবর নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে বিগত ১২-৬-২০২৫ তারিখে সরকারের মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব হাসান আরিফ সাহেব বেতকান্দি হাটখোলায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করে ইউপি কমপ্লেক্স ভবন বন্যাকান্দিতে স্থায়ী কার্যালয়ের পাশে নির্মাণের বিরোধিতা করে জোরালো বক্তব্য প্রদান করেন যাহা এলাকাবাসী তথা ইউনিয়নবাসীর কাম্য নয়। তাই তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়া সহ তার পক্ষপাত মূলক আচরণের জন্য গত ২৮/৬/২০২৫ তারিখ বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসা মাঠে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ত করেন আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মাস্টার। সভাটি সঞ্চালনা করেন আব্দুস সালাম শেখ অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন জনাব হায়দার আলী আকন্দ, জনাব গোলাম সরোয়ার মাস্টার, জনাব আজমল হক তালুকদার,জনাব জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক মেম্বার) , জনাব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম খান, জনাব তাজমুল হাসান দুলাল, জনাব আলহাজ্ব উদ্দিন সহ অনেকে। বক্তারা জনাব হাসান আরিফ সাহেবের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে বক্তব্য প্রদান করেন।