রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংহতি সমাবেশে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধের জোর দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও সমমনা অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়েছে। এখন আবার এই দলগুলো সক্রিয় হয়ে দেশকে অস্থির করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাই অবিলম্বে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
সমাবেশে মূলত তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়:
১. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিষেধাজ্ঞা,
২. নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি,
৩. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ।
বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে সফল হলেও এখনও অনেক স্বৈরাচারী অবশিষ্ট আছে। আওয়ামী লীগ বিদায় নিলেও তাদের পৃষ্ঠপোষক দলগুলো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা:
- বিএনপির হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি চ্যাপ্টার ক্লোজড। জাপা দিয়ে ‘আপা’ আবার ফিরবে, এমন স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।
- জামায়াতে ইসলামীর জুবায়ের বলেন, এই হামলা শুধু নুরের ওপর নয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর হামলা।
- গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান বলেন, হামলাকারীদের বিচার না হলে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
- ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট জন্ম না নেয়।
- হেফাজতের আতাউল্লাহ আমীন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের দোসরদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে।
- লেবার পার্টির ডা. ইরান বলেন, সংস্কারপন্থী নির্বাচন চাইলেও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন জেএসডি, এনসিপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিস, জামায়াত, নেজামে ইসলাম, জাগপা, এনডিএম, এনডিপিসহ অন্তত ৩০টি দল ও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
সবাই মিলে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, দেশের রাজনীতি থেকে ফ্যাসিবাদ ও ভারতপন্থী প্রভাব একেবারে নির্মূল করতে হবে।