তথ্যসূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট | প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১০:৩১
নেপালে চলমান সহিংস বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর পর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুয়াটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, হতাহতের ঘটনায় নৈতিক দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
সোমবার সকাল থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ বন্ধের ঘোষণার পর ‘হামি নেপাল’ নামে একটি সংগঠনের ডাকে সকাল ৯টা থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় মূলত তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া জেনারেশন জেড বা জেন-জি সদস্যরা।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলকামান, টিয়ার গ্যাস এবং গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে কাঠমান্ডুতে অন্তত ১৭ জন এবং ইতাহারিতে ২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ।
ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা ও বিশ্ব প্রকাশ শর্মা রমেশ লেখকের পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে নৈতিক দিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নেপালে ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের একটি অংশ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে।
বিক্ষোভকারীরা শুধু অ্যাপ নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে নয়, সরকারের দুর্নীতি, অন透明তা ও জবাবদিহিহীনতার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন। তাঁরা প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি জানান।