
লেখা- জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস
“দুর্গাপুজোর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে ‘নবপত্রিকা’ বলে একটা বিষয় আছে। এটা প্রকৃতি পূজার প্রতীকী উপস্থাপনা।
গঙ্গা জল সহ নয় ধরনের চারা গাছ দিয়ে পুজোর ঘট সাজানো হয়। শাস্ত্রে এই গাছগুলোর কাব্যিক উপস্থাপনা এমন:
রম্ভা, কচ্চী, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বিল্ব দাড়িম্ব।
অশোকো মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা।।

নয়টি উদ্ভিদ দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পিত হয়ঃ
১. কদলী বা রম্ভা (কলা গাছ): কদলি গাছ এর অধিষ্টাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী;
২. কচু (সাধারন): কচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কালিকা;
৩. হরিদ্রা (হলুদ গাছ): হরিদ্রা গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী উমা;
৪. জয়ন্তী: জয়ন্তী গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কার্তিকী;
৫. বিল্ব (বেল গাছ): বিল্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শিবা;
৬. দাড়িম্ব (ডালিম/বেদানা গাছ): দাড়িম্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা;
৭. অশোক: অশোক গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শোকরহিতা;
৮. মানকচু: মানকচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী চামুণ্ডা;
৯. ধান: ধান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী লক্ষ্মী।
আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করতে হয়। দুর্গাকে কখনো কখনো বনদুর্গা হিসেবে পূজিত হতে দেখা যায়। বনের গাছকেই দুর্গা হিসেবে ধরে নেয়া হয়। আর এই পুজোটা করা হয় বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ একটি মাঙ্গলিক আচার হিসাবে। “
(লেখা- জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস – Jiban Krishna Biswas
ছবি- আনন্দবাজার পত্রিকা