রবিবার, সকাল ৬:২৩, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবিবার, সকাল ৬:২৩, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্জুন গাছের ঔষধী গুণ

হাকীম মো:রেজাউল করিম

অর্জুন (বৈজ্ঞানিক নাম: Terminalia arjuna) একটি বহুল পরিচিত ঔষধি গাছ, বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় এর ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। অর্জুনের বাকল, পাতা, ফল এবং গাছের অন্যান্য অংশে রয়েছে নানা ধরনের ঔষধি গুণ।

:অর্জুনের প্রধান ঔষধী গুণাবলি:

1. হৃদরোগে উপকারী :

অর্জুনের বাকল হৃদপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে।

হার্টবিট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও রক্তচাপ কমাতে কার্যকর।

হার্ট অ্যাটাক, বুক ধড়ফড়, বুকে ব্যথা প্রভৃতি সমস্যা উপশমে ব্যবহৃত হয়।

2. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:

উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) কমাতে নিয়মিত অর্জুনের চূর্ণ বা ক্বাথ (নির্যাস) পান করা উপকারী।

3. কোলেস্টেরল কমায়:

অর্জুনের ছালে থাকা ট্যানিন ও ফ্লাভোনয়েডস শরীরে খারাপ চর্বি (LDL) কমায় এবং ভালো চর্বি (HDL) বৃদ্ধি করে।

4. যকৃত ও কিডনির সুরক্ষায়:

অর্জুন লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।

কিডনি পরিষ্কার রাখতেও উপকারী।

5. ক্ষত ও ঘা সারাতে:

অর্জুনের ছাল গুঁড়ো করে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত শুকিয়ে যায় ও প্রদাহ কমে।

6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:

অর্জুন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

7. হজমে সহায়তা করে:

এটি পাকস্থলীর জ্বালা, অম্লতা ও গ্যাসের সমস্যা কমায়।

8. দাঁতের রোগে উপকারী:

অর্জুনের ছালের গুঁড়ো দাঁতের মাড়ি মজবুত করে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

: ব্যবহারের উপায়:

অর্জুনের ছালের ক্বাথ :

শুকনো ছাল টুকরো করে পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে সকালে ও রাতে খাওয়া যায়।

অর্জুন গুঁড়ো:

প্রতিদিন ১ চা চামচ গরম দুধ বা পানির সঙ্গে খাওয়া যায়।

⚠️ সতর্কতা:

দীর্ঘদিন ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।

#jesus#knowledge#KristenStewart#life#lovestory

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top