
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এবারের ফলাফল শতভাগ সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফল একযোগে প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন,
“বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো পক্ষপাত করিনি। এবারের ফল শতভাগ সঠিক—যে যেমন লিখেছে, ফলাফলও ঠিক তেমনই হয়েছে। খাতা মূল্যায়নে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে।”
তিনি আরও জানান, এবারে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছে ইংরেজি বিষয়ে। গত ২১ বছরে এটিই সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। সর্বশেষ ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে পাসের হার ছিল ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা এ বছর আবারও সমান হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন,
“শতভাগ পাসের প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে, তাই এবার সেই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা আর শতভাগ পাসের ক্যাটাগরি রাখব না। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তারা যেন পরবর্তীতে আরও ভালো করতে পারে—এই কামনাই করি।”
তিনি আরও যোগ করেন, এ বছর পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সে কারণেও ফলাফল প্রত্যাশিত না-ও হতে পারে।
বোর্ডভিত্তিক ফলাফল:
- ঢাকা বোর্ড: ৬৪.৬২%
- কুমিল্লা বোর্ড: ৪৮.৮৬% (সবচেয়ে কম)
- রাজশাহী বোর্ড: ৫৯.৪০%
- যশোর বোর্ড: ৫০.২০%
- চট্টগ্রাম বোর্ড: ৫২.৫৭%
- বরিশাল বোর্ড: ৬২.৫৭%
- সিলেট বোর্ড: ৫১.৮৬%
- দিনাজপুর বোর্ড: ৫৭.৪৯%
- ময়মনসিংহ বোর্ড: ৫১.৫৪%
মোট গড়ে পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর (২০২৪) পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করলেও প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।