সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতী
একটা জীব সবাই জাহান্নাম। জাহান্নাম কোনও স্থান নহে, ইহা ব্যক্তি। “তাহার জন্য” অর্থাৎ জাহান্নামীর জন্য তথ্য জাহান্নামের জন্য সাতটি দ্বার। এইদ্বার বলিতে মানুষের ইন্দ্রিয়দ্বার বুঝাইয়াছে।বহু প্রকারের পাপের এক একটি সুনির্দিষ্ট অংশ প্রত্যেক দরজার জন্য নির্দিষ্ট করা হইয়াছে। প্রত্যেক দ্বার পরিবেশ ও প্রকৃতি হইতে নির্দিষ্ট প্রকারের পাপ গ্রহণ করিয়া মস্তিষ্কের মধ্যে জমা করিয়া রাখে। কানের মাধ্যমে শ্রুতির অপরাধ, চক্ষুর মাধ্যমে দেখার অপরাধ, অনুভূতির মাধ্যমে স্পর্শের অপরাধ ইত্যাদি।(দ্র.১৫ঃ ৪৪)
* #গুরুর নির্দেশিত পথে এবং তাঁহার আশ্রয়ে যে সাধক তাকওয়ায় থাকে তাহাকে মোস্তাকী বলা হয়। মোত্তাকীর ইন্দ্রিয়দ্বার দিয়া যাহা কিছু আসে তাহা অপরিজ্ঞাতে বা অজ্ঞান অবস্থায় প্রবেশ করে না, বরং সে প্রত্যেক বিষয়ের ওয়াজের সঙ্গে মালুম অর্থাৎ সজাগ অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ সালাতে থাকে। এই কারণে সেই বিষয়ের মোহ তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না। #এই প্রক্রিয়া তথা সালাত যখন তাহার মধ্যে স্রোতমান হইয়া যায় অর্থাৎ স্থায়িত্বলাভ করে, তখনই সে নিরাপত্তার সহিত অর্থাৎ স্থায়ীভাবে জান্নাতে প্রবেশের যোগ্যতা অর্জন করে। সংসারের কোনও দুঃখ-কষ্ট তখন তাহাকে আর কাবু করিতে পারে না। বিষয়বস্তুর আঘাত হইতে নিরাপত্তালাভ করাই জান্নাত। এই অবস্থায় সে এক প্রকার শান্তিদ্বারা বা শান্তির সহিত নিরাপত্তায় প্রবেশ করেন।(দ্র.১৫ঃ ৪৫+৪৬) —#কোরান_দর্শন