রবিবার, সকাল ৮:১৯, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবিবার, সকাল ৮:১৯, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মানদণ্ডে বিচার করা যায় না

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ সেমিনারে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, “নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না। তিনি ছিলেন সময়ের সীমা অতিক্রম করা এক কণ্ঠস্বর, যিনি ছিলেন ‘অপর জনগোষ্ঠী’র প্রতিনিধি।”

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে ‘ঔপনিবেশিক আধুনিকতার ‘অপর’ ও নজরুল সাহিত্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্র, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে।

অধ্যাপক আজম বলেন, “অনেকে বলেন নজরুল কেবল ব্রিটিশবিরোধী ছিলেন, ভালো কবি নন। কিন্তু প্রশ্ন হলো— আমরা কোন মানদণ্ডে কবিতাকে মূল্যায়ন করি? নজরুলের সাহিত্য সেই প্রচলিত মানদণ্ডে ধরা যায় না। ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসনকালে যখন অনেকেই নীরব ছিলেন, তখন নজরুল ছিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠ।”

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, “একসময় তরুণ প্রজন্মকে বলা হতো ‘ফার্মের মুরগি’, কিন্তু তারা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা নজরুলের সৈনিক। তারা রাস্তায় রাস্তায় গেয়েছে— ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’। নজরুল ছিলেন বিপ্লবের প্রতীক; ভারতবর্ষের একটি মাটিও তিনি পরাধীন রাখতে চাননি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক মেহরান নাজ্জাফি হাজিবার বলেন, “নজরুলের কাব্যরস আমাদের মনে করিয়ে দেয় হাফেজ, রুমি ও সাদির উত্তরাধিকারকে। তার কবিতা মানবতা, সহমর্মিতা ও জাগরণের প্রতীক।”

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন যৌথভাবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মুস্তারী এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নুরুল আমিনের হাতে নজরুল পুরস্কার তুলে দেন।

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ১৬ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘নজরুল সপ্তাহে’ কুইজ, কবিতা ও সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নামও ঘোষণা করা হয়। নজরুল কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনজন, কুইজে তিনজন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় চারজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইকবাল শাহীন খান

ChatGPT can

‘নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মানদণ্ডে বিচার করা যায় না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ সেমিনারে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, “নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না। তিনি ছিলেন সময়ের সীমা অতিক্রম করা এক কণ্ঠস্বর, যিনি ছিলেন ‘অপর জনগোষ্ঠী’র প্রতিনিধি।”

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে ‘ঔপনিবেশিক আধুনিকতার ‘অপর’ ও নজরুল সাহিত্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্র, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে।

অধ্যাপক আজম বলেন, “অনেকে বলেন নজরুল কেবল ব্রিটিশবিরোধী ছিলেন, ভালো কবি নন। কিন্তু প্রশ্ন হলো— আমরা কোন মানদণ্ডে কবিতাকে মূল্যায়ন করি? নজরুলের সাহিত্য সেই প্রচলিত মানদণ্ডে ধরা যায় না। ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসনকালে যখন অনেকেই নীরব ছিলেন, তখন নজরুল ছিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠ।”

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, “একসময় তরুণ প্রজন্মকে বলা হতো ‘ফার্মের মুরগি’, কিন্তু তারা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা নজরুলের সৈনিক। তারা রাস্তায় রাস্তায় গেয়েছে— ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’। নজরুল ছিলেন বিপ্লবের প্রতীক; ভারতবর্ষের একটি মাটিও তিনি পরাধীন রাখতে চাননি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক মেহরান নাজ্জাফি হাজিবার বলেন, “নজরুলের কাব্যরস আমাদের মনে করিয়ে দেয় হাফেজ, রুমি ও সাদির উত্তরাধিকারকে। তার কবিতা মানবতা, সহমর্মিতা ও জাগরণের প্রতীক।”

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন যৌথভাবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মুস্তারী এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নুরুল আমিনের হাতে নজরুল পুরস্কার তুলে দেন।

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ১৬ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘নজরুল সপ্তাহে’ কুইজ, কবিতা ও সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নামও ঘোষণা করা হয়। নজরুল কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনজন, কুইজে তিনজন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় চারজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইকবাল শাহীন খান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top