
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এখন স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সরাসরি প্রতিপক্ষ। ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো কার্যত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান। বৃহস্পতিবার তিনি এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তার নেওয়া পদক্ষেপ এখন ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি পুতিনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগজের বাঘ’ আখ্যা দেন এবং নির্ধারিত এক শীর্ষ বৈঠক বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানি—রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মেদভেদেভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, “আমাদের তথাকথিত শান্তি প্রতিষ্ঠাতা এখন যুদ্ধের পথ খুলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের সমান। ট্রাম্প এখন ‘পাগল ইউরোপের’ সঙ্গে মিলে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতা—বিশেষ করে রাশিয়ার কাছাকাছি পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানো—পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
মেদভেদেভের ভাষায়, “এখন রাশিয়ার হাতে কূটনৈতিক আলোচনার বদলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি বারবার বলেছেন, রাশিয়া শান্তি আলোচনায় আগ্রহী, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের নীতি সেই সুযোগ বাধাগ্রস্ত করছে।