রবিবার, সকাল ৭:৫৬, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবিবার, সকাল ৭:৫৬, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হেমন্তকালকে মনে হয় প্রকৃতির নিঃশব্দ কবিতা

হেমন্তকালকে মনে হয় প্রকৃতির নিঃশব্দ কবিতা। বর্ষার কোলাহল আর শরতের সোনালি উৎসব ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলে যে শান্ত, শীতল ঋতু এসে উপস্থিত হয়, সেটিই হেমন্ত। বন-বাদাড়ে পাতারা হলুদ হয়ে ঝরতে থাকে, কৃষকের ঘরে নতুন ধানের গন্ধ ঘুরে বেড়ায়, বাতাসে থাকে একধরনের স্বচ্ছ শীতলতা।

এই সময়ের আকাশ রঙিন তুলোর মতো মেঘের সারি সাজিয়ে রাখে। দিনের আলো নরম হয়, বিকেলের রোদ যেন আলতো করে গায়ের ওপর হাতে হাত রেখে বলে, “শীত আসছে, প্রস্তুত হও!”

হেমন্তের সবচেয়ে মুগ্ধকর রূপ দেখা যায় প্রভাতে। শিশির ভেজা ঘাসের ওপর সূর্যের প্রথম আলোকরশ্মি এসে যখন হীরের দানার মতো ঝিলিক তোলে, তখন মনে হয় প্রকৃতি তার গুপ্ত রত্নভাণ্ডার খুলে দিয়েছে।

শান্ত প্রকৃতি, পাকা ধানের সুবাস, আকাশে চিলের উড়াউড়ি, আর আসন্ন শীতের স্নিগ্ধ বার্তা—সব মিলিয়ে হেমন্তকাল মানুষের মনে একটি কোমল, স্মৃতিমাখা অনুভূতি তৈরি করে। যেন ঋতুর নীরব এক গান, যা শোনার জন্য মনটাকে একটু থামতে হয়। 🌾✨

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top