রবিবার, সকাল ৯:৪৪, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবিবার, সকাল ৯:৪৪, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বৈঠক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠকে জানানো হয়, লকডাউনের নামে কেউ রাস্তায় নামলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বিশেষ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বৈঠকটি মূলত মঙ্গলবার হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে জরুরি আলোচনা প্রয়োজন হওয়ায় আজই সভা আহ্বান করা হয়। বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিদেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন—এ বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচিত হয়। একই সঙ্গে বরগুনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাজীপুর থেকে দলীয় কর্মীরা ইতিমধ্যে ঢাকায় আসার তথ্যও উপস্থাপন করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তার প্রস্তাবে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বরিশাল অঞ্চলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে তাঁদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়েও আলোচনা হয়। আশঙ্কা করা হয়, তাঁরা আবারও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারেন।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের দায়িত্বে পরিবর্তন না আনার বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত সেনা সদস্যরা আগের মতোই মাঠে থাকবে এবং তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হবে না।

এর আগে গত মঙ্গলবারের কোর কমিটির বৈঠকে সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে আজকের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত বদলানো হয়—মূলত আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য অস্থিরতা বিবেচনায়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন’ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী আগের মতোই মাঠে থাকবে—তাদের প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top